নানা সংশয় আর আতঙ্ক কাটিয়ে এক দশক পর; নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে দেশের পুঁজিবাজার। বাজার বিশ্লেষণ বলছে চলতি আগস্টের মাঝামাঝি পুঁজিবাজারে একদিনে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। যা গেল ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বলছে যে কোন সময়ের চেয়ে পুঁজিবাজার এখন টেকসই ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন বাজার নিয়ে কোন গুজব বা আতঙ্ক নয় বরং সচেতন থাকার পরামর্শ বিনিয়োগকারীদের।
২০১০ সালে শেয়ারবাজারে মহাধসের পর পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হন বহু সাধারণ বিনিয়োগকারী। যার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারে নি অনেকে। তবে এক দশক পর ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পুঁজিবাজার। ২০২১ সালে এসে যা পৌঁছেছে অনন্য উচ্চতায়।
হিসাব বলছে, চলতি মাসে একদিনে রেকর্ড বাজার মূলধন ছাড়ায় সাড়ে ৫ লাখ কোটি যা ডিএসইর ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়া ১৬ আগস্ট দুই হাজার ৯৫৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয় যা পুঁজিবাজারের ইতিহাসে একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন এবং আগের ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর সূচকেও গড়ে মাইলফলক। প্রধান সূচক ছাড়ায় ৬ হাজার ৭শ পয়েন্ট। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি বলছে, পুঁজিবাজার এখন আগের চেয়ে টেকসই ও শক্তিশালী অবস্থানে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি এবং ব্যাংক আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে বিকল্প বিনিযোগের সুযোগ কম থাকায় পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারীও বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার কথাও বলছেন বিশ্লেষকরা।
বিএসইসিতে নতুন নেতৃত্ব দায়িত্ব নেয়ার পর গেল বছরের জুলাই থেকে বাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে। যা নিয়ে পুঁজিবাজারে নতুন করে আশার আলো দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।